ভক্তি আন্দোলনের ইতিহাস – History of Bhakti Movement – PDF
Important Bhakti Movement Saints
ভক্তি আন্দোলনের ইতিহাস
আজকে আমরা আলোচনা করবো ভক্তি আন্দোলনের ইতিহাস নিয়ে।পঞ্চদশ-ষােড়শ শতাব্দীতে কবীর, রামানন্দ, নানক, দাদু ও চৈতন্যদেব প্রমুখেরা যে ধর্মীয় উদার আন্দোলনের মাধ্যমে জনগনকে প্রভাবিত করেছিল সেটিকে ভক্তি আন্দোলন বলা হয়। এদের মধ্য দিয়ে ভক্তি আন্দোলন সর্বভারতীয় আন্দোলনের রূপ পেয়েছিল।
Table of Contents
খ্রীষ্টীয় ষষ্ঠ শতকে আলয়ার ও নায়নার সন্তরা ভক্তি সংগীতের মধ্য দিয়ে আন্দোলনের সূত্রপাত করেন। পরবর্তীকালে রামানুজের হাত ধরে ভক্তি আন্দোলনের সূত্রপাত করেন।
দক্ষিন ভারতের রামানুজ, নিম্বাদিত্য, বল্লভাচার্য, মাধবাচার্য প্রমুখেরা ভক্তিবাদের প্রসারের জন্য উত্তর ভারতে উপস্থিত হলেন এবং ভক্তির বন্যা বইয়ে দিলেন। ভক্ত এবনং ভগবানের মধ্যে সরাসরি ভালবাসার কথা ভক্তিবাদীদের মধ্যে প্রচারিত
হতে থাকল।
ভক্তিবাদের যে প্রাচীন আদর্শ ছিল তা হিন্দুশাস্ত্রেই বর্তমান। জীবাত্মা ও পরমাত্মার মিলন মূলকথা, সেখানে ঈশ্বর ও ঈশ্বর সৃষ্ঠ মানুষের মধ্যে কোন জাত পাত, বর্ণ ছিল না।
সর্বভারতীয় ভক্তি আন্দোলনের উদ্ভবে এক উদার মানবিক বােধ যেমন আছে তেমনি ইসলামের একেশ্বরবাদ ও প্রগাড় ভক্তির প্রভাব লক্ষিত হয়। ঈশ্বরের নিকট আত্মসমর্পন, অতিন্দ্রিয় উপলদ্ধি প্রভৃতি ছিল সুফি সন্তদের একান্ত বিষয় যা ভক্তিবাদে সংমিশ্রিত হতে থাকে এবং ভক্তিবাদ সর্বসাধারণের মধ্যে ছড়িয়ে যেতে থাকে।
দক্ষিন ভারতে দার্শনিক রামানুজ ভক্তি আন্দোলননের প্রচারে অগ্রনী ভূমিকা নিয়েছিলেন। উত্তর ভারতে রামানন্দ ও তাঁর শিষ্যদের হাত ভক্তিবাদ প্রভাব বিস্তার করে।
ভক্তি আন্দোলনের প্রবক্তা ও প্রচারকগন শুধু ধর্মান্দোলনের নয় এই আন্দোলনকে সমাজবিপ্লবের স্তরে নামিয়ে এনে ছিলেন। অর্থনৈতিক ও সামাজিক দিক থেকে নিপীড়িত অসহায় দরিদ্র ও নিম্নবর্ণের মানুষরা ভক্তিধর্মকে সাদরে
গ্রহন করেছিল। মানুষের মধ্যে যে কোন প্রভেদ নেই তা ভক্তি আন্দোলনের মুখ্যবিষয় হয়ে ওঠে। সকল শ্রেনীর মানুষ যেন মুক্তির দিশা দেখতে পেয়েছিলো এই ভক্তি আন্দোলনের মধ্যে। এই আন্দোলনে উচ্চ-নীচ ভেদাভেদ ঘুচে গিয়েছিল তেমনি হিন্দু-মুসলমান ভেদাভেদও ছিল না, ছিল এক উচ্চমানবিক সুর।
ভক্তি আন্দোলনের গুরুগণ
ভক্তিবাদ প্রচারের মধ্যে রামানুজ, রামানন্দ, কবির, নামদেব, শ্রী চৈতন্যদেব ও নানক বিশিষ্ট স্থান অধিকার করেছেন ।
রামানুজ
- ভক্তি ধর্মাচার্যদের মধ্যে আদি প্রচারক প্রখ্যাত দার্শনিক ও সাধক রামানুজের নাম প্রথম স্মরণযােগ্য।
- রামানুজ ১০১৭ খ্রিস্টাব্দে দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
- গ্রহত্যাগের পর তিনি শ্রীরঙ্গমের জ্যোতিরাজ নামক এক সন্ন্যাসীর কাছ থেকে দীক্ষা নেন।
- তিনি বৈষ্ণব আলয়ার মমতের সঙ্গে বেদান্তের সামঞ্জস্য করেন।
- তিনি বলতেন ভক্তি যােগের দ্বারাই প্রকৃত মুক্তি লাভ সম্ভব। কার্যের বন্ধন থেকে জীবন মুক্তি লাভ সম্ভব।
- তিনি জাতিভেদ ও অস্পৃশ্যতার বিরোধী ছিলেন ও প্রবল নিন্দা করেছিলেন।
- রামানুজের মতে ভক্তির অর্থ আরাধনা বা কীর্তন-ভজন নয় বরং ঈশ্বরের ধ্যান করা বা প্রার্থনা করা।
- তাঁর রচিত দুটি বিখ্যাত গ্রন্থ হল – শ্রীভাষ্যম এবং বেদান্ত সংগ্রহ।
আদি শঙ্করাচার্য
- কেরালার কালাদি গ্রামে আদি শঙ্করাচার্য জন্মগ্রহণ করেন।
- তার শিক্ষার মূল কথা ছিল আত্ম ও ব্রহ্মের সম্মিলন।
- ভারতীয় দর্শনের অদ্বৈত বেদান্ত নামের শাখাটিকে তিনি সুসংহত রূপ দেন।
- তিনি চারটি মঠ প্রতিষ্ঠা করেন। এই মঠগুলি অদ্বৈত বেদান্ত দর্শনের ঐতিহাসিক বিকাশ, পুনর্জাগরণ ও প্রসারের সাহায্য করেছিল।
রামানন্দ
- এলাহাবাদের এক ব্রাহ্মন পরিবারে জন্মগ্রহন করেন রামানন্দ ।
- তিনি জাতিভেত প্রথাকে ঘৃনা করতেন এবং রামের প্রতি অকৃত্রিম ভক্তিই মুক্তির একমাত্র পথ বলে প্রচার করতেন।
- তিনি জাতিভেদ প্রথা মানতেন না ।
- তাঁর শিষ্যদের মধ্যে রবিদাস ছিলেন মুচি, কবির ছিলেন জোলা, সেনা ছিলেন নাপিত ও ধন্না ছিলেন জাঠ চাষী ।
- তার ১২ জন প্রধান শিষ্যের মধ্যে নিম্নবর্ণের নাপিত, মুচি প্রভৃতি ছিলেন। তার অন্যতম প্রধান শিষ্য ছিলেন মাধব কবীর।
- রামানন্দ হিন্দি ভাষাকে তার ধর্মপ্রচারের বাহন করেন।
- ঐতিহাসিক তারাচাঁদ রামানন্দকে দক্ষিণ ভারত ও উত্তর ভারতের ভক্তিবাদী আন্দোলনের সেতুবন্ধন বলে উল্লেখ করেছেন।
কবীর (১৪২৪-১৫১৮ খ্রীঃ)
- রামানন্দের প্রধান শিষ্য ছিলেন কবীর।
- কিংবদন্তী অনুযায়ী কবীর ছিলেন এক ব্রাহ্মণ বিধবার সন্তান। মা কর্তৃক পরিত্যক্ত হয়ে তিনি নিরু নামে এক মুসলমান তাঁতির ঘরে পালিত হন।
- বাল্যকাল থেকেই কবীরের মনে দিব্যজ্ঞানের উদয় হয়।
- হিন্দু দর্শন এবং সুফী সন্ত তাঁকে গভীর ভাবে প্রভাবিত করেছিল।
- বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে কোন পার্থক্য তিনি স্বীকার করতেন না। তিনি বিশ্বাস করতেন শাস্ত্রীয় বিধান, ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান, তীর্থযাত্রা, পুণ্য স্নান, শাস্ত্র পাঠ বা জাতিভেদ নয়- কেবলমাত্র মনের পবিত্রতা ও আন্তরিকতার মাধ্যমে ভক্তির সাহায্যেই প্রকৃত ধর্ম লাভ সম্ভব|।
- তাঁর মতে, “আল্লাহ্” ও “রাম” একই ঈশ্বরের আলাদা নাম।
- হিন্দু-মুসলমান উভয় ধর্মের মানুষ কবীরের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেছিল এবং তারা কবীর পন্থী নামে পরিচিত ছিলেন।
- দুই লাইনের একেকটি শুল্ক বা দোঁহার মাধ্যমে কবীর অন্তত সহজ-সরলভাবে তার বক্তব্য প্রচার করতেন। কেবলমাত্র আধ্যাত্মিক সম্পদ হিসাবেই নয়- দোঁহাগুলি ছিল হিন্দি সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ।
নামদেব (১২৭০-১৩৫০ খ্রীঃ)
- মারাঠা ধর্মাচার্য নামদেব মহারাষ্ট্রে ভক্তিধর্ম প্রচার করেন।
- তিনি ছিলেন বিষ্ণুর উপাসক।
- তিনি একেশ্বর বাদে বিশ্বাসী ছিলেন এবং মূর্তিপূজা ও ধর্মের বাহ্যিক অনুদানের ঘাের বিরােধী ছিলেন।
- তার ধর্মমতের মূল কথা ছিল সূচিতা, ভক্তি ও হরির গুনকীর্তন।
- হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে ঐক্য স্থাপনের চেষ্টা করেছিলেন তিনি।
গুরু নানক (১৪৬৯-১৫৩৮ খ্রীঃ)
- শিখ ধর্মের প্রবর্তক নানক মধ্যযুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ধর্মপ্রচারক ছিলেন।
- তিনি ১৪৬৯ খ্রিস্টাব্দে লাহােরের নিকট তালবন্দী গ্রামে জন্মগ্রহন করেন।
- গুরুনানকের ধর্মের প্রধান বৈশিষ্ঠ এক ঈশ্বর। এই ঈশ্বরের স্বরূপ বর্ণনা গিয়ে তিনি বলেছে ঈশ্বর সত্য, শ্রষ্ঠা।
- হিন্দু ও মুসলমানের জন্মগত ও সামাজিক মিলনের চেষ্টা করেন তিনি।
শ্রীচৈতন্য (১৪৮০-১৫৬৩ খ্রীঃ)
- বৈষ্ণব ধর্মের প্রচারকদের মধ্যে চৈতন্যের ছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ।
- বাংলার নদিয়া জেলার এক ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহন করেন তিনি।
- ২৪ বছর বয়সে সন্ন্যাস ধর্ম গ্রহন করেন।
- দঃ ভারত পরিভ্রমন করে ১৮ বছর তিনি পুরীধামে অতিবাহিত করেন।
- পন্ডিত-মূর্খ, উচ-নীচ নির্বিশেষে তার ভক্তিধর্ম প্রচার করেন তিনি।
- তিনি মনে করতেন ভালোবাসা ও ভক্তির পথে এবং কৃষ্ণ নাম সংকীর্তনের মাধ্যমে ঈশ্বরের সান্নিধ্য পাওয়া যায় ।
- জাতিভেত প্রথাব ঘাের বিরােধী ছিলেন। তাঁর প্রচারিত ধর্মের মূল কথা ছিল বৈরাগ্য এবং শ্রীকৃষ্ণ অর্থাৎ ভগবানের প্রতি গভীর প্রেম।
- তাঁর অগুণিত শিষ্যের মধ্যে রূপ-সনাতন, জীব গোস্বামী, নিত্যানন্দ, শ্রীবাস এবং যবন হরিদাসের নাম সবিশেষ উল্লেখযোগ্য ।
মীরাবাঈ (১৪৯৮-১৫৪৬ খ্রিস্টাব্দ)
- মীরাবাঈ বৈষ্ণব ভক্তি আন্দোলনের সন্ত ধারার প্রধান ব্যক্তিত্বদের অন্যতম।
- তিনি ভারতের রাজস্থান রাজ্যের নাগৌর জেলার কুদকি (কুরকি) নামক একটি ছোট গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
- তিনি বারোশো থেকে তেরোশো ভজন রচনা করেছিলেন।
- অল্প বয়সে কৃষ্ণ প্রেমে মাতোয়ারা হয়ে তিনি তিনি রাজপ্রাসাদ ত্যাগ করেন।
- তিনি মনে করতেন, ভক্তি ও ভালোবাসা দ্বারায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে লাভ করা যায়।
দাদু দয়াল (১৫৪৪-১৬০৩ খ্রিস্টাব্দ)
- দাদু দয়াল ১৫৪৪ খ্রিস্টাব্দে গুজরাটের আহমেদাবাদে জন্মগ্রহণ করেন।
- অন্যান্য ভক্তিবাদ প্রচারকের মতো দাদুও হিন্দু-মুসলিম ভেদ ও জাতিভেদ প্রথাকে বিশ্বাস করতেন না ।
- তিনিও মনে করতেন প্রেম ও ভক্তির মাধ্যমেই ঈশ্বরকে পাওয়া যায় ।
- রজব এবং সুন্দর দাস ছিলেন দাদুর প্রধান দুজন শিষ্য ।
- দাদুর শিষ্যদের দাদু পন্থী বলা হত ।
ভক্তি আন্দোলনের প্রভাব
ভক্তি আন্দোলনে উত্তর থেকে দক্ষিন ভারত সমানভাবে সাধারন জনগনকে আলােড়িত করেছিলেন। বৌদ্ধ আন্দোলনের পর ভারতবর্ষের বুকে গভীর ও ব্যপকভাবে ভক্তি আন্দোলনেই প্রভাব বিস্তার করেছীল । আচার সর্বস্ব ধর্মান্ধ ভারতবর্ষের বুকে ভক্তিবাদ মানুষের মনে গভীর প্রভাব ফেলেছিল।
ভক্তি আন্দোলনে অবহেলিত ও দলিত মানুষরা মুক্তির আলাে দেখল যার প্রভাব ছিল সুদুর প্রসারী। কবির, নানক, চৈতন্য প্রমুখ ধর্মীব নেতারা সমাজের নির্যাতিত অবহেলিত, শােষিত মানুষদের বাঁচার স্বপ্ন দেখান।
ভক্তি আন্দলের ফলে শুধু ধর্ম নয়, প্রাদেশিক ভাষা ও সাহিত্যের উন্নতি সাধন ঘটেছিল। ধর্মসংস্কারগন সংস্কৃত ভাষার পরিবর্তে সর্বজন বােধ্য আঞ্চলিক ভাষাতে ভক্তিগীতি ও গ্রন্থ রচনা করেছিলেন।
যারা ধর্ম প্রচারক তারা লােকভাষার মধ্যদিয়ে ঈশ্বরের অমিয়বানী প্রচার করলেন। বিভিন্ন ভজনগীতি, ভক্তিগীতি যেমন রচিত হতে থাকল, তেমনি বাংলায় সৃষ্টি হল পদাবলী সাহিত্য, চৈতন্য জীবনী গ্রন্থ।
- বৃন্দাবন দাসের চৈতন্য ভাগবত যা ভক্তিজ্ঞানের আকার এবং চৈতন্য জীবনের লীলা সম্বলিত গ্রন্থ।
- শ্রী শ্রী কৃষ্ণদাস কবিরাজের ‘শ্রী শ্রী চৈতন্যচরিতামৃত’ তৎকালীন গ্রন্থ সমাজ, দর্শন তত্ত্ব ইতিহাসের এক প্রামান্য গ্রন্থ।
- কবীরের দোহা, গুরুমুখী ভাষায় নানকের ভজন, মারাঠা সাধক নামদেব ও তুকারামের ‘অভঙ্গ’ বিশেষ প্রভাব বিস্তার করেছিল।
- চৈতন্যদেবের পর্ষদদের পাশাপাশি সীতাদেবী, শান্তাদেবী সংগঠক হয়ে উঠেছিলেন ফলে ভক্তিবাদী আন্দোলনে নারী-পুরুষের ভেদাভেদ ছিল না। ধর্মসভায় যােগদানের ব্যাপারে নারীদের অধিকার বেড়ে গেল যার ফলে ভক্তি আন্দোলনেনারীর মর্যাদা বৃদ্ধি পেল।
ভক্তি আন্দোলন ভারতবর্ষের সমাজ সংস্কৃতিকে ব্যাপক ভাবে প্রভাব বিস্তার করেছিল যা ইতিহাস পাতায় স্থান করে নিয়েছে। জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে এক মহৎ সমন্বয়ের সুর শােনা গিয়েছিল ভক্তিবাদী আন্দোলনের মধ্যে যা সমাজ ও মানব কল্যাণের পথকে প্রশস্ত করেছিল।
আরও দেখে নাও :
- প্রাগৈতিহাসিক যুগের ইতিহাস – প্রস্তর যুগ – PDF Download
- PDF : ৮০০টি আধুনিক ভারতের ইতিহাসের প্রশ্ন ও উত্তর
- আধুনিক ভারতের ইতিহাস – ১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহ – সিপাহী বিদ্রোহ প্রশ্ন ও উত্তর
- শিখ সাম্রাজ্যের ইতিহাস । শিখ গুরু । শিখ ধর্মের ইতিহাস PDF
- History of Maratha Empire | মারাঠা সাম্রাজ্যের ইতিহাস | PDF
Download Section
- File Name : ভক্তি আন্দোলনের ইতিহাস – History of Bhakti Movement – বাংলা কুইজ
- File Size: 2 MB
- No. of Pages: 07
- Format: PDF
- Language: Bengali
- Subject: History
To check our latest Posts - Click Here
ভক্তি আন্দোলনে ডাউনলোড হচ্ছে না
Ok ..We are checking it