Nobel Prize 2024 : Winners List – ২০২৪ সালের নোবেল পুরস্কার বিজেতাদের তালিকা
২০২৪ সালের নোবেল পুরস্কার বিজেতাদের তালিকা : আজকে আমরা এই পোস্টে আলোচনা করবো Nobel Prize 2024 : Winners List নিয়ে।
১৯০১ সাল থেকে পদার্থবিদ্যা, রসায়নবিদ্যা, চিকিৎসাবিজ্ঞান, সাহিত্য ও শান্তিতে এবং ১৯৬৯ সাল থেকে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হয়। ৩১ জানুয়ারি মধ্যরাত্রি ১২টা পর্যন্ত আবেদনপত্র গ্রহণ করা হয়। মার্চ মাস থেকে নোবেল কমিটিগুলির মাধ্যমে প্রতি ক্ষেত্রে শর্টলিস্ট করা হয়। অক্টোবর মাসে নোবেল পুরস্কার
ঘোষণা করা হয় এবং প্রতি বছর ১০ ডিসেম্বর আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুদিনে নোবেল পুরস্কার প্রাপকগণের হাতে পুরস্কার প্রদান করা হয় ।
Table of Contents
সুইডিশ পদার্থবিদ, রসায়নবিদ, ডিনামাইট আবিষ্কর্তা, ইঞ্জিনিয়ার, ব্যবসায়ী, শান্তিবাদী ও বিশিষ্ট লেখক অ্যালফ্রেড নোবেল ১৮৯৫ সালের ২৭ নভেম্বর তিনি তাঁর মোট সম্পত্তির ৯৪ শতাংশ প্রায় ৩১ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোন অর্থ প্রদান করেন নোবেল পুরস্কার তহবিলের জন্য।
দেখে নাও : বিভিন্ন দেশের রাজধানী ও মুদ্রা
নোবেল পুরস্কার প্রাপকদের নির্বাচন করেন—
- (১) পদার্থবিদ্যা ও রসায়নবিদ্যায় সুইডেনের স্টকহোম থেকে রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি।
- (২) অর্থনীতিতে সুইডেনের ‘সেভরিক রিক্সব্যাঙ্ক’।
- (৩) চিকিৎসাবিদ্যা বা মেডিসিন বিভাগে ‘ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট’।
- (৪) সাহিত্যে ‘সুইডিশ অ্যাকাডেমি’ এবং (
- (৫) শান্তিতে ‘নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি’।
দেখে নাও : নোবেল পুরস্কার ২০২২ তালিকা – Nobel Prize 2022 Winner List – PDF
দেখে নেওয়া যাক ২০২৪ সালের নোবেল বিজেতাদের তালিকা ।
পদার্থবিদ্যা
২০২৪ সালে পদার্থবিদ্যায় নোবেল পেয়েছেন জন হপফিল্ড (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) এবং জিওফ্রে হিন্টন (ব্রিটিশ যুক্তরাজ্য)।
আর্টিফিশিয়াল নিউরাল নেট ওয়ার্কের সাহায্যে মেশিন লার্নিংয়ে মৌলিক আবিষ্কারের জন্য এই দুই বিজ্ঞানীকে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হলো। মেশিন লার্নিংয়ের সারকথাটি হল, একটি শিশু যেমন করে পারিপার্শ্বিক থেকে শেখে, সে ভাবেই শেখে যন্ত্রও। শৈশব থেকে বার বার একই জিনিস দেখতে দেখতে, শুনতে শুনতেই একটি শিশু শেখে। তেমনই নানা তথ্য বা ডেটা বার বার দেখিয়ে যন্ত্রকেও ‘শেখানো’ হয়। একই ধাঁচের ডেটাগুলি বার বার দেখতে দেখতেই যন্ত্র সেগুলি আত্মস্থ করে। পরে অজানা ডেটার ক্ষেত্রেও যন্ত্র কাজে লাগাতে পারে সেই লব্ধ জ্ঞান। সেই যন্ত্রকে ‘শেখাতেই’ কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্কের ব্যবহার। যন্ত্রকে শেখানোর নানা পদ্ধতি বা অ্যালগোরিদমের একটি হল কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্ক।
আমেরিকার প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার কাজে যুক্ত জন হপফিল্ড। নোবেল কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, তিনি এমন এক ধরনের মেমরি আবিষ্কার করেছেন যা ছবি এবং অন্যান্য ডেটা সংরক্ষণ করে রাখতে সক্ষম। সেগুলিকে নতুনভাবে তৈরিও করতে পারে।
অন্যদিকে, টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ব্রিটিশ-কানাডিয়ান জিওফ্রে হিন্টনকে বলা হয়েছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অথবা কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার ‘গডফাদার’। ২০২৩ সাল পর্যন্ত তিনি গুগলে কাজ করতেন। তিনি এমন একটি বিষয় আবিষ্কার করেছেন যা নিজে নিজেই কোনও ডেটার মাধ্যমে বিভিন্ন জিনিসপত্র খুঁজে এনে দেবে। এ ছাড়াও কোনও ছবির মধ্যে থেকেও নির্দিষ্ট বিষয়কে চিহ্নিত করতে তা সক্ষম।
চিকিৎসাবিদ্যা
২০২৪ সালের চিকিৎসা শাস্ত্রে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পেলেন ভিক্টর অ্যামব্রোস (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) এবং গ্যারি রুভকেন (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) ।
মাইক্রো RNA এবং পোস্ট ট্রান্সক্রিপশনাল জিন রেগুলেশনে এর ভূমিকা আবিষ্কারের জন্য এই পুরস্কার পেলেন দুই বিজ্ঞানী।
ভিক্টর আর অ্যামব্রোস একজন মার্কিন বায়োলজিস্ট। যিনি মাইক্রো RNA তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। অন্যদিকে, অপর নোবেল প্রাপক আমেরিকার মলিকিউলার বায়োলজিস্ট গ্যারি ব্রুস রুভকন ম্যাসাচুসেটস নারেল হাসপাতাল এবং হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলে অধ্যাপনা করেন ৷
রসায়নবিদ্যা
২০২৪ সালে রসায়নে নোবেল পুরস্কার পেলেন ডেভিড বেকার (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র), ডেমিস হাসাবিস (ব্রিটিশ যুক্তরাজ্য) এবং জন এম জাম্পার (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র)।
‘কম্পিউটেশনাল প্রোটিন ডিজাইন’-এর তাঁরা জন্য এই পুরস্কার পেয়েছেন। প্রোটিন শরীরে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অ্যামাইনো অ্যাসিডের চেন দিয়ে প্রোটিন তৈরি হয়।
‘কম্পিউটেশনাল প্রোটিন ডিজাইন’-এর অর্থ হল কম্পিউটারকে ব্যবহার করে নতুন প্রোটিন তৈরির প্রক্রিয়া। অ্যামাইনো অ্যাসিডের বদল যদি করা হয় সে ক্ষেত্রে, প্রোটিনের গঠন ও কাজে কী প্রভাব পড়বে তা আগে থেকে বোঝা যায়। কোনও রোগের ওষুধ তৈরিতে তা কাজে লাগে । প্রোটিন সাধারণ ২০টি ভিন্ন অ্যামাইনো অ্যাসিড দিয়ে তৈরি। এগুলি একটি লম্বা সুতোয় ত্রিমাত্রিক আকারে সাজানো থাকে। এই রাসায়নিক গঠনই স্থির করে কোনও প্রোটিনের প্রতিক্রিয়া কেমন হবে।
সাহিত্য
২০২৪ সালে সাহিত্যের জন্য নোবেল পুরস্কার পেলেন দক্ষিণ কোরিয়ার হান কাং ।
মানুষের জীবনের ভঙ্গুরতা, যন্ত্রণার কথা বার বার হানের কলমে উঠে এসেছে আর গদ্য হয়ে উঠেছে কবিতা।
১৯৭০ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়াঙ্গজুতে জন্ম হানের। তাঁর বাবাও বিশিষ্ট সাহিত্যিক। কবিতা দিয়েই সাহিত্যে হাতেখড়ি হানের। ১৯৯৩ সালে প্রথম বার তাঁর পাঁচটি কবিতা প্রকাশিত হয়েছিল। তার মধ্যে ছিল ‘উইন্টার ইন সোল’ কবিতাটিও। মুনহাক-গুয়া-সাহো (লিটারেচার অ্যান্ড সোসাইটি)-এর শীতকালীন ইস্যুতে ছাপা হয়েছিল সেই কবিতা। পরের বছর ১৯৯৪ সালে ঔপন্যাসিক হিসাবে হাতেখড়ি হয় হানের। ওই বছরই তিনি সোল শিনমুন বসন্তকালীন প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৯৫ সালে তাঁর প্রথম ছোটগল্প সংকলন প্রকাশিত হয়। সেই সংকলনের নাম ছিল ‘ইয়োসু’। ১৯৯৮ সালে আইওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন মাসের জন্য লেখালিখির একটি আন্তর্জাতিক কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন। কোরিয়ার আর্টস কাউন্সিল সাহায্য করেছিল হানকে।
এর পর ‘ফ্রুটস অফ মাই ওম্যান’ (২০০০), ‘স্যালাম্যান্ডার’ (২০১২)-এর মতো ছোটগল্প সংকলন প্রকাশিত হয়েছে তাঁর। ‘ব্ল্যাক ডিয়ার’ (১৯৯৮), ‘ইওর কোল্ড হ্যান্ডস’ (২০০২), ‘দ্য ভেজিটেরিয়ান (২০০৭) ‘ব্রিদ ফাইটিং’ (২০১০)-এর মতো উপন্যাসেরও জন্ম দিয়েছে তাঁর কলম।
‘দ্য ভেজিটেরিয়ান’-এর জন্য ২০১৬ সালে বুকার পুরস্কার পেয়েছিলেন হান। তাঁর রচিত উপন্যাস ‘আই ডু নট বিড
ফেয়ারওয়েল’-এর জন্য তিনি ২০২৩ সালে ফ্রান্সে মেডিসিস পুরস্কার পেয়েছিলেন।
নোবেল কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, হানের লেখনীতে মানুষের মানসিক এবং শারীরিক যন্ত্রণা উঠে এসেছে বার বার। ঐতিহাসিক ঘটনাগুলি মানুষের জীবনে কী প্রভাব ফেলে, তা বার বার খুঁজেছেন হান। তার পর তুলে ধরেছেন নিজের লেখনীতে। সেখানে ব্যক্তির সঙ্গে সমষ্টির যন্ত্রণা মিলেমিশে একাকার হয়েছে। ২০১৪ সালে তাঁর লেখা ‘হিউম্যান অ্যাক্ট’-এর প্রেক্ষাপট এ রকমই এক ঐতিহাসিক ঘটনা। ১৯৮০ সালে গুয়াংজুতে বিক্ষোভ দেখিয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন বহু মানুষ। তাঁদের মধ্যে ছিলেন পড়ুয়ারাও। সেই ভয়ঙ্কর ঘটনা, হিংসা, প্রতিরোধ উঠে -এসেছিল ‘হিউম্যান অ্যাক্ট’-এ।
অর্থনীতি
২০২৪ সালে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পেলেন তিন মার্কিন অর্থনীতিবিদ- ড্যারন আকমোগলু, সাইমন জনসন ও জেমস রবিনসন।
এঁদের মধ্যে ১৯৬৭ সালে তুরস্কে জন্ম ড্যারন আকমোগলুর। ১৯৬৩ সালে জন্ম সিমন জনসনের। তিনি ইংল্যান্ডের শেফিল্ডের বাসিন্দা। উভয়েই এমআইটি-র অধ্যাপক। জেমস রবিনসন আমেরিকার শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ান ৷
এবারে অর্থনীতিতে নোবেল প্রাপক তিন জনের গবেষণার বিষয় – দেশীয় সমৃদ্ধিতে সামাজিক প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা। সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলি কী ভাবে তৈরি হয় এবং সামগ্রিক সমৃদ্ধিকে কী ভাবে প্রভাবিত করে, সেই নিয়েই দীর্ঘ গবেষণা করেছেন তাঁরা।
শান্তি
২০২৪ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার পেল জাপানের নিহন হিদানকিও ( Nihon Hidankyo) নামক সংস্থা।
হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পরমাণু বোমা বিস্ফোরণের কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের নিয়ে কাজ করে এই জাপানি গোষ্ঠী।
নোবেল কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, পৃথিবীকে পরমাণু বোমা থেকে মুক্তি দেওয়ার লক্ষ্যে অসামান্য অবদান রয়েছে এই প্রতিষ্ঠানের। পরমাণু বোমা যে বিশ্বের জন্য কতটা ক্ষতিকর, তা নিয়ে বিভিন্ন প্রচারমূলক কর্মসূচি চালায় এই জাপানি প্রতিষ্ঠান।
১৯৫৬ সালে তৈরি হয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। হিরোশিমা ও নাগাসাকির মতো ঘটনা যাতে আরও কোনও দিন কোথাও না ঘটে, তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই অবিরাম কাজ চালিয়ে যাচ্ছে নিহন হিদানকিও।
নোবেল কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, চলতি বছরে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মোট ২৮৬টি আবেদন জমা পড়েছিল। তার মধ্যে ১৯৭টি ব্যক্তিগত সম্মাননার জন্য আবেদন ছিল এবং বাকি ৮৯টি ছিল প্রতিষ্ঠানের সম্মাননার জন্য আবেদন। সকলের মধ্যে থেকে নোবেল কমিটি এ বছরের জন্য বেছে নিয়েছে পরমাণু বোমা নিয়ে কাজ করা এই প্রতিষ্ঠানকে।
একনজরে –
২০২৪ নোবেল বিজয়ীদের নাম দেওয়া রইলো টেবিল আকারে ।
বিভাগ | বিজয়ী |
---|---|
পদার্থবিদ্যা | জন হপফিল্ড (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) এবং জিওফ্রে হিন্টন (ব্রিটিশ যুক্তরাজ্য)। |
চিকিৎসা বিদ্যা | ভিক্টর অ্যামব্রোস (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) এবং গ্যারি রুভকেন (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) । |
রসায়ন | ডেভিড বেকার (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র), ডেমিস হাসাবিস (ব্রিটিশ যুক্তরাজ্য) এবং জন এম জাম্পার (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র)। |
সাহিত্য | হান কাং (দক্ষিণ কোরিয়া) । |
অর্থনীতি | ড্যারন আকমোগলু (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র), সাইমন জনসন (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) ও জেমস রবিনসন (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র)। |
শান্তি | জাপানের নিহন হিদানকিও ( Nihon Hidankyo) নামক সংস্থা |
To check our latest Posts - Click Here
hiI like your writing so much share we be in contact more approximately your article on AOL I need a specialist in this area to resolve my problem Maybe that is you Looking ahead to see you