প্রিয় পাঠকেরা, আজকের পোস্টে আমরা আলোচনা করবো জল সংরক্ষণ কাকে বলে ? জল সংরক্ষনের বিভিন্ন পদ্ধতি নিয়ে। বর্তমান যুগে পানীয় জলের চাহিদা ক্রমশঃ বেড়েই চলেছে। তাই সকলের জল সংরক্ষণ সম্পর্কে জ্ঞান থাকা অত্যন্ত জরুরি।
জল সংরক্ষণ কাকে বলে ?
জলের চাহিদা মেটানোর জন্য যে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে সুপরিকল্পিত ভাবে বিভিন্ন জলাশয় ব্যবহার করা বিশুদ্ধ জল ধরে রাখা হয় এবং এই জলের অপব্যবহার থেকে রক্ষা করা হয় তাকে জল সংরক্ষণ বলা হয়।
জল সংরক্ষণ প্রধানত স্বাদু বা মিষ্টি জলের অর্থাৎ পানীয় জলের করা হয়ে থাকে।
জল সংরক্ষণের গুরুত্ব
জল সংরক্ষণের প্রধান গুরুত্বগুলি হল –
- প্রকৃতিতে জলের ভারসাম্য বজায় রাখা। জল সংরক্ষণের অভাবে প্রকৃতিতে পানীয় জলের ভারসাম্য কমে যাবে।
- কৃষিকাজে জলের চাহিদা মেটাতে জল সংরক্ষণের গুরুত্ব অপরিসীম।
- শিল্প ও বিভিন্ন অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে জলের চাহিদা মেটানোর জন্য জল সংরক্ষণ অত্যন্ত জরুরি।
- মানুষের দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় জল সরবরাহ অক্ষুন্ন রাখতে জল সংরক্ষণ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
- খরার প্রকোপ থেকে রাখা পাবার জল সংরক্ষণ জরুরি।
দেখে নাও : পরিবেশ দূষণ ও তার প্রতিকার – রচনা
জল সংরক্ষণের বিভিন্ন পদ্ধতি
জল সংরক্ষণের বিভিন্ন পদ্ধতিগুলি হল –
বাঁধ নির্মাণ : নদীর গতিপথে বাঁধ দিয়ে জল সংরক্ষণ করা হয়। এক্ষেত্রে একদিকে অতিরিক্ত জল আটকে বন্যা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব অন্যদিকে জল সংরক্ষণ করে খরা বা জলের অভাবের সময় জল সরবরাহ করা সম্ভব হয়। এছাড়াও এই জলের উপযুক্ত ব্যবহার করে জলশক্তি উৎপন্ন করা হয়।
জলাশয় খনন : বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম জলাশয়ের মাধ্যমে বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করা হয়ে থাকে। জলাভাবের সময় এই জল ব্যবহার করা হয়। ফলে ভূগর্ভস্থ জলের ওপর নির্ভরশীলতা অনেকটাই কমে যায়।
বনাঞ্চল সৃষ্টি : মাটি জল ধরে রাখে। কিন্তু বনাঞ্চলের অভাবে মাটিক্ষয় হয় এবং এর ফলে মাটির জল সংরক্ষণ ক্ষমতা কমে যায়। পর্যাপ্ত পরিমান বনাঞ্চল সৃষ্টি করে ভূমিক্ষয় রোধ করা সম্ভব। এর ফলে মাটির জল ধারণ ক্ষমতা অনেক পরিমানে বেড়ে যায়।
আগাছা ধ্বংস : চাষের জমিতে আগাছা নাশ করে সেই আগাছা দ্বারা জল শোষণ কম করিয়ে জল সংরক্ষণ করা যায়।
জল শোধন : সঠিক পদ্ধতিতে কলকারখানা, ও শহরের পয়:প্রণালীর শোধন করে সেই জল নদী -নালাতে ফেলে জল সংরক্ষণ সম্ভব।
To check our latest Posts - Click Here