উদ্ভিদ ও প্রাণীকোষের পার্থক্য
Difference Between Plant Cell and Animal Cell
উদ্ভিদ ও প্রাণীকোষের পার্থক্য
আজ আমরা আলোচনা করব উদ্ভিদ ও প্রাণীকোষের পার্থক্য (Difference Between Plant Cell and Animal Cell ) নিয়ে । উদ্ভিদকোষ ও প্রাণীকোষের মধ্যে পার্থক্য লেখ।
যে কোনো জীবের গঠন ও বিপাক-ক্রিয়ার একক, এবং বংশগতির ধারক ও বাহক। অধিকাংশ জীব যাদের আমরা দৈনন্দিন জীবনে দেখে থাকি তারা বহুকোষী। কিন্তু এককোষী জীবের সংখ্যাও এমন কিছু কম নয়। আমরা উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন অণুবীক্ষণ যন্ত্র ব্যবহার করে এই সমস্ত এককোষী জীব দেখতে পারি, এবং জানতে পারে তাদের বিষয়ে।
এককোষী জীবের উদাহরণঃ ব্যাকটিরিয়া, প্রোটোজোয়া, কিছু এককোষী ছত্রাক, ইত্যাদি।
আজকের আলোচনায় আমরা ভাইরাসকে বাদ দিচ্ছি – কারণ ভাইরাস প্রকৃতপক্ষে জীব না, বরং জীব ও জড়ের মধ্যবর্তী এক বস্তু।
নিম্নে উদ্ভিদ এবং প্রাণীকোষের পার্থক্য আলোচনা করা হল –
সমস্ত চিত্র উইকিপিডিয়া থেকে সংগৃহীত।
উদ্ভিদ কোষ
প্রাণী কোষ
উদ্ভিদ ও প্রাণী কোষের মধ্যে পার্থক্য
উদ্ভিদ ও প্রাণী কোষের মধ্যে পার্থক্য নিচে ছকের সাহায্যে দেওয়া রইলো।
বিষয় | উদ্ভিদ কোষ | প্রাণীকোষ |
---|---|---|
কোথায় দেখা যায়? | উদ্ভিদ দেহে | প্রাণী দেহে |
সাধারণ আকৃতি | চতুষ্কোণ | গোল কিন্তু তার মানে এক নয় যে সমস্ত প্রাণীকোষ একরকমের দেখতে। যেমন, স্নায়ুকোষ লম্বাটে গঠনের হয়। |
কোষ প্রাচীর | বিদ্যমান প্রসঙ্গতঃ, কোষ প্রাচীর থাকার কারণেই ব্যাকটেরিয়াকে ‘উদ্ভিদ’ বলে গণ্য করা হয়। | কোষ প্রাচীর থাকে না |
নিউক্লিয়াস | সাধারণতঃ কোষের একদিকে অবস্থান করে। | সাধারণতঃ কোষের কেন্দ্রীয় অঞ্চলে অবস্থান করে। কোনো কোনো কোষে নিউক্লিয়াস থাকে না। যেমন স্তন্যপায়ী প্রাণীর লোহিত রক্ত কণিকা। |
সেন্ট্রোজোম এবং সেন্ট্রিওল | থাকে না | থাকে |
প্লাস্টিড / ক্লোরোপ্লাস্ট | থাকে সালোকসংশ্লেষকারী কোষে ক্লোরোপ্লাস্ট দেখা যায়। | থাকে না |
লাইসোজোম | থাকে, কিন্তু সংখ্যায় নগণ্য হয় | থাকে |
মাইটোকন্ড্রিয়া | থাকে, কিন্তু সংখ্যায় প্রাণীকোষের মাইটোকন্ড্রিয়ার সংখ্যার তুলনায় অনেক কম হয়। | থাকে |
ভ্যাকুওল | থাকে, এবং সাধারণতঃ আকারে বড় হয় কিন্তু সংখ্যায় কম হয়। সাধারণতঃ ভ্যাকুওল কোষের কেন্দ্রীয় অঞ্চলে থাকে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভ্যাকুওল কোষের ৯০% অবধি যায়গা জুড়ে থাকে। | থাকে, এবং সাধারণতঃ আকারে ছোট হয় কিন্তু সংখ্যায় অনেক বেশি হয়। |
সিলিয়া / ফ্লাজেলা | সাধারণতঃ থাকে না। গমনে সক্ষম উদ্ভিদের ক্ষেত্রে সিলিয়া দেখা যায়। | সাধারণতঃ থাকে। তার মানে এই নয় যে সব প্রাণীকোষেই সিলিয়া বা ফ্লাজেলা থাকে। |
প্লাসমোডেসমাটা | প্লাসমোডেসমাটা হল কোষ প্রাচীরের ক্ষুদ্র ছিদ্রপথ যার মাধ্যমে বিভিন্ন অণু এবং অন্যান্য বস্তু কোষের বাইরে বেরোতে তথা ভেতরে আসতে পারে। | থাকে না, কারণ প্রাণীকোষে কোষ প্রাচীর থাকে না। |
কোষ বিভাজন | কোষ বিভাজনের শেষ ধাপ, ‘সাইটোকাইনেসিস’ তথা সাইটোপ্লাজমের বিভাজন সম্পন্ন হয় দুটি অপত্য কোষের মাঝে কোষ প্রাচীর সৃষ্টির মাধ্যমে। | কোষ বিভাজনের শেষ ধাপ, ‘সাইটোকাইনেসিস’ তথা সাইটোপ্লাজমের বিভাজন সম্পন্ন হয় ক্লিভেজ সৃষ্টির মাধ্যমে। |
এরকম আরও কিছু পোস্ট :
প্রাণী ও উদ্ভিদের শ্বাসযন্ত্র তালিকা – List of Respiratory Organs
To check our latest Posts - Click Here