মগধের উত্থান – পার্ট ৪ – মৌর্য সাম্রাজ্যের ইতিহাস
মৌর্য সাম্রাজ্যের ইতিহাস
মৌর্য সাম্রাজ্যের ইতিহাস (৩২১-১৮৫ খ্রিস্টপূর্বাব্দ)
আজকে আমাদের আলোচনার টপিক – মৌর্য সাম্রাজ্যের ইতিহাস / মৌর্য বংশ / মৌর্য সাম্রাজ্য।
মগধের উত্থানের প্রধান কারণ
ষোড়শ মহাজনপদগুলির মধ্যে ধীরে ধীরে মগধ শক্তিশালী হয়ে ওঠে। মগধের উত্থানের প্রধান কারণগুলি ছিল
- মগধের ভৌগোলিক অবস্থান মগধকে অন্যান্য মহাজনপদগুলির তুলনায় কিছু বিশেষ সুবিধা দিয়েছিলো।
- মগধের লোহার খনির ভান্ডার ছিল। এর ফলে মগধের অস্ত্রগুলি ছিল অন্যান্য মহাজনপদগুলির তুলনায় উন্নত মানের।
- মগধের দুই রাজধানী রাজগৃহ ও পাটলিপুত্র প্রকৃতির দ্বারা সুরক্ষিত ছিল বলে বহিরাগত শত্রুর পক্ষে তা দখল করা কার্যত অসম্ভব ছিল ।
- মগধে আর্য-অনার্য সংস্কৃতির সংমিশ্রণে এক শক্তিশালী জনগোষ্ঠীর উদ্ভব হয়েছিল।
- মগধের শাসকগণ ছিলেন বীরযোদ্ধা এবং শাসনকার্যে সুদক্ষ।
এর আগে আমরা মগধের হর্যঙ্ক বংশ, শিশুনাগ বংশ এবং নন্দ বংশ নিয়ে আলোচনাকরেছি । আজ আমরা আলোচনা করবো মৌর্য সাম্রাজ্যের ইতিহাস / মৌর্য বংশ নিয়ে।
চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য ( ৩২১ – ২৯৮ খ্রিস্টপূর্বাব্দ )
- মৌর্য সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা হলেন চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য।
- চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য্যকে ভারতের প্রথম ঐতিহাসিক সম্রাট মনে করা হয়।
- অত্যাচারী রাজা ধননন্দের ওপর প্রজারা বিক্ষোভ দেখালে কৌটিল্য চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যকে দিয়ে ধননন্দকে সিংহাসন চুত করান। মগধে মৌর্য বংশের শাসন শুরু হয়।
- চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যকে গ্রিকরা বলত স্যান্ড্রা কোট্টাস বা মুক্তিদাতা।
- ৩০৫ খ্রিস্টপূর্বাব্দে আলেকজান্ডারের সেনাপতি সেলুকাস নিকাটোরকে পরাজিত করেন। সন্ধি অনুযায়ী সেলুকাস কাবুল, কান্দাহার, হিরাট এবং বালুচিস্তান চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য ছেড়ে দেন।
- সেলুকাস কন্যা হেলেনের সাথে চন্দ্রগুপ্তের বিবাহ হয়।
- সেলুকাস মেগাস্থিনিসকে তার দূত হিসেবে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের রাজসভায় প্রেরণ করেন। মেগাস্থিনিস ইন্ডিকা গ্রন্থে তার ভারত সম্পর্কে অভিজ্ঞতার কথা লিপিবদ্ধ করেন।
- জৈন শাস্ত্র পরিশিষ্ট-পার্বণ অনুযায়ী জানা যায় চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য জৈন ধর্ম গ্রহণ করেন এবং শেষ জীবনে জৈন পন্ডিত ভদ্রবাহুর সঙ্গে মহীশুরের শ্রাবণবেলগােলায় যান এবং সেখানে অনশনে প্রাণ ত্যাগ করেন।
- সাম্রাজ্য : উত্তর পশ্চিমে পারস্য সীমানা, পশ্চিমে আরব সাগর, পূর্বে বাংলা এবং দক্ষিণে মহীশুর ও মাদ্রাজ পর্যন্ত বৃস্তিত ছিল।
বিন্দুসার ( ২৯৮ – ২৭৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দ )
- চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের মৃত্যুর পরে তার পুত্র বিন্দুসার মগধের সিংহাসনে বসেন।
- বিন্দুসার অমিত্রঘাত (শত্রুহননকারী ) নাম পরিচিত ছিলেন। গ্রিকরা তাকে অমিত্ৰচ্যাট বলত।
- বিন্দুসারের সময় দক্ষিণ ভারতে মৌর্য সাম্রাজ্যের চুড়ান্ত বিস্তৃতি ঘটেছিলো।
- বিন্দুসারের আমলে পেট্রোক্লেস নামে এক গ্রিক নাবিকভারত মহাসাগরে অভিযান করে বহু তথ্য সংগ্রহ করেন।
- বিন্দুসার আজীবিক ধর্মের প্রতি অনুরাগী ছিলেন। পিঙ্গল বৎস নামে একজন আজীবিক ভবিষ্যৎ বক্তা বা জ্যোতিষী তার দরবারে ছিলেন।
- বিন্দুসার আরবসাগর এবং বঙ্গোপসাগরের মধ্যভূমি দখল করেছিলেন।
অশোক (২৭৩ – ২৩২ খ্রিস্টপূর্বাব্দ )
- বিন্দুসারের মৃত্যুর পরে তার পুত্র অশােক ভাইদের হত্যা করে সিংহাসনে বসেন। কথিত আছে তিনি তার ৯৯ জন ভাইকে হত্যা করেন এবং শুধুমাত্র ছোটভাই তিস্সাকে ছেড়ে দেন। এজন্য অশোককে ‘চন্ডাশােক’ বা ‘ধর্মাশােক’ বলা হয়ে থাকে।
- ‘দিব্যবদন’ এবং ‘সিংহলী’ উপাখ্যানে অশোকের সাথে তার ভ্রাতাদের বিরোধের কথা উল্লেখ রয়েছে।
- অশােক প্রথম জীবনে ছিলেন উজ্জয়িনীর শাসনকর্তা। পরে তক্ষশীলায় প্রজাবিদ্রোহ হলে তাকে সেখানে পাঠানাে হয়। তক্ষশিলায় সুশাসন প্রতিষ্ঠা করে অশােক তার যােগ্যতা দেখান।
- অশােকের রাজত্বে সর্বপ্রথম উল্লেখযােগ্য ঘটনা ছিল কলিঙ্গ যুদ্ধ।
কলিঙ্গ যুদ্ধ (২৬১ খ্রিস্টপূর্বাব্দ ) :
- সুবর্ণরেখা ও গোদাবরী সন্নিহিত ওড়িশা ও অন্ধ্রের কিছু অংশ নিয়ে কলিঙ্গ গঠিত ছিল।
- দয়া নদীর তীরে এই কলিঙ্গ যুদ্ধ হয়।
- অশােকের রাজত্বের অষ্টম বছরে ২৬০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে মতান্তরে ২৬১ খ্রিস্টপূর্বাব্দে কলিঙ্গ যুদ্ধ হয়। এই যুদ্ধে দেড় লক্ষ মারা যায় এবং বহু লােক বন্দী বা নিরুদ্দেশ হয়।
- যুদ্ধ জয়ের পর কলিঙ্গ মৌর্য সাম্রাজ্যভুক্ত হয় এবং এর রাজধানী হয় তোসালি।
- ভক্ৰ শিলালিপি থেকে জানা যায় যে কলিঙ্গ যুদ্ধের দুবছর পর বৌদ্ধপণ্ডিত উপগুপ্তের নিকট বৌদ্ধধর্মের দীক্ষা নেন। বুদ্ধ, ধর্ম ও সংঘের প্রতি তাঁর বিশ্বাস বেড়ে যায়।
- কলিঙ্গ যুদ্ধের পরে চণ্ডাশোক, ধর্মাশোকে পরিণত হয়।
বৌদ্ধ ধর্মপ্রচার :
- অশোক পুত্র মহেন্দ্র ও কন্যা সংঘমিত্রাকে বৌদ্ধধর্ম প্রচারের জন্য শ্রীলংকা বা সিংহলে পাঠিয়েছিলেন।
- অশােকের সময় পাটলিপুত্রে ২৫০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে তৃতীয় বৌদ্ধসঙ্গীতি অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনে সভাপতি ছিলেন মােগলিপুত্র তিস্য। অশােক তৃতীয় বৌদ্ধসঙ্গীতের পরে কিছু বৌদ্ধ সন্ন্যাসীকে নির্বাচিত করে কিছু স্থানে পাঠান বৌদ্ধধর্ম প্রচারের জন্য।
সাম্রাজ্য :
- কলহনের ‘রাজতরঙ্গিনী’ থেকে জানা যায় কাশ্মীর মৌর্য সাম্রাজ্যের অংশ ছিল এবং অশােক শ্রীনগর শহর প্রতিষ্ঠা করেন।
- অশােকের দ্বিতীয় শিলালিখ থেকে জানা যায় তার সাম্রাজ্য দক্ষিণ সীমান্ত চোল, পান্ড, সত্যপুত্র, কেরলপুত্র ইত্যাদি প্রতিবেশি দেশ পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।’
অশোকের বিভিন্ন নাম / উপাধি
- অশোক – ব্যক্তিগত নাম। মাস্কি মাইনর শিলালিপিতে এই নামের উল্লেখ রয়েছে।
- প্রিয়দর্শী – অভিষেকের পর সরকারি নাম।দ্বীপবংস , কান্দাহার শিলালিপি এবং বরাবর গুহলেখতে এই নামের উল্লেখ রয়েছে।
- দেবনামপ্রিয় – রাজকীয় নাম। গুর্জর মাইনর শিলালিপিতে এই নামের উল্লেখ রয়েছে।
- মগধের রাজা – ভাবরু শিলালেখতে এই নামের উল্লেখ রয়েছে।
- অশোক বর্ধন – পুরানে এই নামে উল্লেখ রয়েছে।
- অশোক মৌর্য – জুনাগড় শিলালেখতে এই নামের উল্লেখ রয়েছে।
প্রজাকল্যানকর কাজ :
- অশোক তার শিলালিপিতে নিজেকে ‘দেবনামপ্রিয়’ এবং ‘প্রিয়দর্শী’ নামে উল্লেখ করেছেন।
- অশােক বলেছিলেন ‘সবে মুনিষে প্রজা মম’ অর্থাৎ সকল মানুষই আমার সন্তান।
- অশোকের আমলে রাজপথ নির্মাণ, পথের পাশে বৃক্ষরােপণ, কূপ খনন, পান্থশালা নির্মাণ, মানুষ ও পশুদের জন্য চিকিৎসালয় স্থাপন এবং সাম্রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে ঔষধি চারা রােপণ করা হয়।
- তিনি সাঁচীর স্তুপ নির্মাণ করেছিলেন
অশোকের লিপি
- ১৮৩৭ সালে অশোকের লিপির পাঠোদ্ধার করেন – জেমস প্রিন্সেপ।
- শিলালিপিগুলি প্রধানত প্রকৃত ভাষায় লেখা হত। উত্তর-পশ্চিমে খরোষ্ঠী ভাষায়, পশ্চিমে গ্রিক এবং আরামাইক ভাষায় এবং পূর্বে ব্রাম্হি ভাষায় লেখা হত।
- অশোকের রানীদের মধ্যে একমাত্র কারুবাকি এবং পুত্রদের মধ্যে একমাত্র তিভারা বা তিবরের নাম শিলালেখগুলিতে পাওয়া যায়।
অশোকের প্রধান ১৪টি শিলালেখ
শিলালেখ | সম্পর্কিত |
---|---|
I | বলিপ্রথা বন্ধ এবং অনুষ্ঠানে একসঙ্গে জমায়েত হওয়া। |
II | সমাজকল্যাণের বিভিন্ন ব্যবস্থা। |
III | ব্রাহ্মণদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপণ। |
IV | আত্মীয় এবং গুরুজনদের প্রতি ভালোবাসা ও সম্মান |
V | ধর্ম মহামাত্রদের নিযুক্তিকরণ ও তাদের দায়িত্ব |
VI | দক্ষ সংস্থা ও অনুশাসনের প্রয়োজনীয়তা |
VII | সর্ব ধর্ম সহিষ্ণুতা |
VIII | ধর্ম যাত্রা |
IX | অর্থহীন রীতিনীতির বিরোধিতা |
X | যুদ্ধের পরিবর্তে ধর্মের মাধ্যমে জয়। |
XI | ধর্মনীতির ব্যাখ্যা |
XII | সব ধর্মকে মিলে মিশে থাকার আবেদন। |
XIII | কলিঙ্গ যুদ্ধ এবং ৫টি সমসাময়িক গ্রিক রাজার উল্লেখ * |
XIV | ধর্মীয় জীবন যাপনের অনুপ্রেরণা |
অশোকের পরবর্তী মৌর্য শাসকগণ
- বায়ুপুরান অনুসারে অশোকের পরে তাঁর পুত্র জেষ্ঠ্য পুত্র কুনাল সিংহাসনে বসেন। কুনাল সুপথ নামেও পরিচিত।
- কুণালের মৃত্যুর পরে দশরথ সিংহাসনে বসেন।
- দশরথের কোনো পুত্র না থাকায় তাঁর মৃত্যুর পরে তাঁর অনুজ সম্প্রতি সিংহাসনে বসেন। তিনি ছিলেন জৈন ধর্মালম্বী।
- সম্প্রতির পরে সিংহাসনে বসেন সালিসুক।
- সালিসুকের পরে দেববর্মা, দেববর্মার পরে শতধনুষ, শতধনুষ-এর পরে বৃহদ্রথ মগধের সিংহাসনে বসেন।
- মৌর্য বংশের শেষ সম্রাট ছিলেন বৃহদ্রথ।
- বৃহদ্রথের সেনাপতি পুষ্যমিত্র শুঙ্গ বৃহদ্রথকে হত্যা করে মগধে মৌর্য শাসনের অবসান ঘটান।
মৌর্য শাসন ব্যবস্থা ও সমাজ ব্যবস্থা সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
- রাজা সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন।
- কৌটিল্যের মত অনুসারে রাজ্যের সাতটি ভাগ ছিল ( সপ্তঙ্গ থিওরি ) । এগুলি হলো
- রাজা
- অমাত্য
- জনপদ
- দুর্গ
- কোশা
- সেনা
- মিত্র
- মেগাস্থিনিস মৌর্য সমাজকে ৭টি ভাগে ভাগ করে তার ইন্ডিকা গ্রন্থে উল্লেখ করেছিলেন। এগুলি হলো
- দার্শনিক
- কৃষক
- সৈন্য
- পশুপালক
- শিল্পী
- শাসক/হাকিম
- পরিষদ
- মৌর্য সাম্রাজ্যের পাটলিপুত্র নগরের পৌর শাসনের সর্বাপেক্ষা মূল্যবান ঐতিহাসিক উৎস হলো – মেগাস্থিনিসের ইন্ডিকা
আরো দেখে নাও :
মগধের উত্থান – পার্ট ৩ – নন্দ বংশ
ভারতের ইতিহাস – ৩০০টি MCQ ( PDF )
ভূগোলের ৫০০ টি MCQ প্রশ্ন ও উত্তর – PDF ডাউনলোড
মৌর্য সাম্রাজ্যের কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর
মৌর্য সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন কে ?
চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য
মৌর্য সাম্রাজ্যের শ্রেষ্ঠ সম্রাট কে ?
সম্রাট অশোক
মৌর্য সাম্রাজ্যের পতনের কারণগুলি সংক্ষেপে লেখ ।
অশোকের মৃত্যুর পরে মৌর্য সাম্রাজ্য দুর্বল হয়ে পরে। পরবর্তী শাসকগণ ছিলেন অযোগ্য।
অশোকের ধর্মবিজয় ও শান্তির নীতি ফলে মৌর্য সেনাবাহিনী ক্রমশ অলস হয়ে পড়েছিল ।
অশোকের ব্রাহ্মণদের প্রতি বিদ্বেষ ও ধর্মমহামাত্র নিয়োগ সাম্রাজ্যে বিপর্যয় ডেকে এনেছিল।
আমলাতান্ত্রিক মৌর্য শাসনব্যবস্থায় কেন্দ্রীয় রাজশক্তির দুর্বলতায় আমলারা ও উচ্চপদস্থ কর্মচারীরা রাজার প্রতি আনুগত্য দেখানাে বন্ধ করে।
বিশাল সাম্রাজ্য একসময় সামলানো দুরহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছিল ।
অর্থনৈতিক সংকট ক্রমশ প্রবল হয়ে বৃদ্ধির পরে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
মৌর্য আমলের জেলা প্রশাসন কে কি বলা হয়?
মৌর্য আমলের জেলা প্রশাসনকে বলা হলো – প্রদেশিকা ।
অমিত্রাঘাত নামে কে পরিচিত?
বিন্দুসার
প্রিয়দর্শী নামে পরিচিত ছিলেন –
সম্রাট অশোক
অশোকের ব্রাহ্মী লিপির পাঠোদ্ধার কে করেন?
১৮৩৭ সালে অশোকের লিপির পাঠোদ্ধার করেন – জেমস প্রিন্সেপ।
অশোকের শিলালিপি কোন ভাষায় লেখা?
প্রধানত প্রকৃত ভাষায় লেখা হত। উত্তর-পশ্চিমে খরোষ্ঠী ভাষায়, পশ্চিমে গ্রিক এবং আরামাইক ভাষায় এবং পূর্বে ব্রাম্হি ভাষায় লেখা হত।
খরোষ্ঠী লিপি কোন দিক থেকে লেখা শুরু হয়?
খরোষ্ঠীলিপি লিখা হতো ডান দিকে থেকে বাম দিক বরাবর।
মেগাস্থিনিস রচিত ইন্ডিকা গ্রন্থ থেকে কোন বংশের ইতিহাস জানা যায় ?
মৌর্য বংশের ইতিহাস
মেগাস্থিনিস এর লেখা বইটির নাম কি ?
ইন্ডিকা
To check our latest Posts - Click Here