Bangla Samas PDF | বাংলা সমাস পিডিএফ – বাংলা ব্যাকরণ
Bangla Samas - Bengali Grammar
Bangla Samas PDF | বাংলা সমাস পিডিএফ
আজকে আমাদের আলোচ্য বিষয় – বাংলা সমাস / Bangla Samas PDF / সমাস কাকে বলে ? কত প্রকার ও কি কি? . বাংলা সমাস pdf ।
বৃক্ষের ছায়া—পদ দুইটির মধ্যে একটি অর্থ-সম্বন্ধ রহিয়াছে। বৃক্ষের ছায়া না বলিয়া বৃক্ষচ্ছায়া বলিলে শুধু যে সংক্ষেপে বলা হইল তাহা নয়, সুন্দর করিয়াও বলা হইল। বাগ্যন্ত্রের সুবিধা ও শ্রবণেন্দ্রিয়ের আনন্দ একই সঙ্গে বিধান করার এই পথটি ব্যাকরণে সমাস ( Bangla Samas ) বলিয়া পরিচিত।
Bangla Samas PDF
সমাস কাকে বলে ?
সমাসের সংজ্ঞা : সংক্ষেপে সুন্দর করিয়া বলিবার উদ্দেশ্যে পরস্পর অর্থ-সম্বন্ধযুক্ত দুই বা তাহার বেশী পদকে এক পদে পরিণত করার নাম সমাস।
সমস্ত পদ কাকে বলে ?
সমস্ত-পদ: সমাসে একাধিক পদ মিলিত হইয়া যে একটি নূতন পদ গঠন করে, তাহাকে সমস্ত-পদ বা সমাসবদ্ধ পদ বলে। [ অবশ্য সমাসবদ্ধ পদও আসলে শব্দই।
বিভক্তিযুক্ত হইয়া বাক্যে স্থানলাভের যােগ্যতা পাইলে। তবেই ইহাকে পদ বলা চলে। ]
সমস্ত-পদটি একটিমাত্র পদ, তাই পদটিকে একমাত্রায় লেখা চাই-ই। পদটি যেখানে বেশ বড়াে হইবার সম্ভাবনা, সেখানে পদসংযােজক রেখা (হাইফেন) দ্বারা যুক্ত করা উচিত। যেমন—হারানাে-প্রাপ্তি-নিরুদ্দেশ ; অমর-দানব-যক্ষ-মানব।
সমস্যমান পদ কাকে বলে ?
সমস্যমান পদ: যে-সমস্ত পদের সমন্বয়ে সমস্ত-পদের সৃষ্টি, তাহাদের প্রত্যেকটিকে সমস্যমান পদ বলে।
আমাদের প্রদত্ত উদাহরণটিতে বৃক্ষচ্ছায়া হইতেছে সমস্ত-পদ ; বৃক্ষের এবং ছায়া এক-একটি সমস্যমান পদ ; বৃক্ষের পদটি পূর্বে আছে বলিয়া ইহাকে পূর্বপদ এবং পরে থাকার জন্য ছায়া পদটিকে উত্তরপদ বলে।
বীণা পাণিতে যাঁহার তিনি বীণাপাণি। এখানে বীণাপাণি’ সমস্ত-পদ, ‘বীণা’ সমস্যমান পূর্বপদ, ‘পাণিতে’ সমস্যমান উত্তরপদ, যাহার তিনি’ সমস্যমান সহায়ক অন্য পদ।
বিপরীতক্রমে বৃক্ষচ্ছায়া এবং বীণাপাণি পদকে বুঝাইয়া বলিবার জন্য বিস্তৃত করিয়া যথাক্রমে বৃক্ষের ছায়া এবং বীণা পাণিতে যাঁহার তিনি বলা হয়। সমাস-বদ্ধ পদকে এইভাবে বিস্তৃত করার নাম ব্যাসবাক্য।
ব্যাসবাক্য: সমস্ত-পদের বিশ্লেষণ করিয়া সমাসের অর্থটি যে বাক্য বা বাক্যাংশের দ্বারা ব্যাখ্যা করিয়া দেখানাে হয়, তাহাকে ব্যাসবাক্য বা বিগ্রহবাক্য বা সমাসবাক্য বলে।
‘সমাস’ শব্দের অর্থ সংক্ষেপ, আর ব্যাস’ শব্দের অর্থ বিস্তার। মনে রাখিও ব্যাসবাক্যে সমস্যমান পদগুলি বিচ্ছিন্নভাবে থাকে, কিন্তু সমাসে (সমস্ত-পদে) সেইগুলি অবিচ্ছিন্নভাবে থাকে।
সন্ধি ও সমাসের পার্থক্য কি ?
বাক্সীমিতি অথচ সৌন্দর্যসৃষ্টি—এই দুইটি উদ্দেশ্য সিদ্ধ করিবার জন্য সন্ধি ও সমাসের সৃষ্টি। উভয়ের মধ্যে সাদৃশ্য এইটুকুই। উভয়ের পার্থক্য কিন্তু বেশ ব্যাপক।
- সন্ধিতে বর্ণের সঙ্গে বর্ণের মিলন, সমাসে পদের সঙ্গে পদের মিলন।
- সন্ধিতে প্রত্যেকটি পদেরই অর্থ অক্ষুন্ন থাকে, কিন্তু একমাত্র দ্বন্দ্ব সমাসেই যা প্রত্যেকটি পদের অর্থ অক্ষুন্ন থাকে ; তৎপুরুষ ও কর্মধারয় পরপদের অর্থপ্রাধান্য, অব্যয়ীভাবে পূর্বপদের অর্থপ্রাধান্য, বহুব্রীহিতে অনুল্লিখিত অথচ ইঙ্গিতিত তৃতীয় একটি পদের অর্থপ্রাধান্য।
- সমাসে অধিকাংশ ক্ষেত্রে পূর্বপদের বিভক্তিচিহ্ন লােপ পায়, সন্ধিতে পূর্বপদের বিভক্তিলােপের প্রশ্নই উঠে না।
- সন্ধিতে পদগুলির ক্রম অক্ষুগ্ন থাকে, সমাসে কোনাে কোনাে ক্ষেত্রে পদদ্বয় পারস্পরিক স্থান পরিবর্তন করে। রাত্রির পূর্ব = পূর্বরাত্র।
- সমাসে কোনাে কোনাে ক্ষেত্রে একটি শব্দের স্থানে অন্য শব্দ আসে, সন্ধিতে এ-রকমটি হয় না। অন্য যুগ = যুগান্তর। [ এখানে ‘অন্য পদের স্থানে ‘অন্তর’ পদটির আবির্ভাব ঘটিয়াছে এবং নবাগত পদটি স্থান পরিবর্তন করিয়া শেষে বসিয়া সন্ধিবদ্ধ হইয়াছে। ]
বিভিন্ন ধরণের সমাস
সংস্কৃতে সমাস প্রধানতঃ চারিপ্রকার—দ্বন্দ্ব, তৎপুরু, বহুব্রীহি ও অব্যয়ীভাব। কর্মধারয় তৎপুরুষের অন্তর্ভূত, এবং দ্বিগু আবার কর্মধারয় সমাসের অন্তর্ভূত। কিন্তু আমরা বাংলা সমাসকে মােটামুটি ছয় প্রকার ধরিয়া লইয়াছি—দ্বন্দ্ব, তৎপুরুষ, কর্মধারয়, দ্বি, বহুব্রীহি ও অব্যয়ীভাব।
দ্বন্দ্ব সমাস
যে সমাসে প্রত্যেকটি সমস্যমান পদের অর্থ প্রধানভাবে বুঝায়,তাহাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলে।
দ্বন্দ্ব সমাসের ব্যাসবাক্যে সমস্যমান পদগুলি ও, এবং, আর প্রভৃতি সংযােজক অব্যয়দ্বারা পরস্পর যুক্ত থাকে।
উদাহরণ :
- ভীম ও অর্জুন = ভীমার্জুন ;
- জায়া ও পতি = জায়াপতি বা দম্পতি (জম্পতি বাংলায় একেবারে অচল)।
- অহঃ ও রাত্রি = অহােরাত্র ;
- অহঃ ও নিশা = অহর্নিশ ;
তৎপুরুষ সমাস
যে সমাসে পূর্বপদের কর্ম করণ অপাদান ইত্যাদি কারকের বিভক্তিচিহ্ন কিংবা বিভক্তিস্থানীয় অনুসর্গের লােপ হয় এবং পরপদের অর্থটি প্রধানভাবে বুঝায়, তাহাকে তৎপুরুষ সমাস বলে।
এই সমাসের ব্যাসবাক্য গঠন করিবার জন্য পূর্বপদে অর্থানুসারে কর্ম করণ অপাদান অধিকরণ ইত্যাদি কারকের বিভক্তিচিহ্ন অথবা বিভক্তিস্থানীয় অনুসর্গ যােগ করিতে হয়।
উদাহরণ :
- রথকে দেখা = রথদেখা ;
- দেশকে উদ্ধার = দেশােদ্ধার;
- লুচিকে ভাজা = লুচিভাজা ;
- অস্ত্রের দ্বারা আহত = অস্ত্রহত ;
- গুরু-কর্তৃক দত্ত = গুরুদত্ত ;
- তৃষ্ণার দ্বারা ঋত = তৃষ্ণার্ত ।
কর্মধারয় সমাস
যে সমাসে পূর্বপদ পরপদের বিশেষণ-রূপে অবস্থান করে এবং পরপদেরই অর্থ প্রাধান্য পায়, তাহা কর্মধারয় সমাস।
কর্মধারয় সমাসে উভয় পদে কর্তৃকারকের একই বিভক্তি (শুন্য) হয়। এইজন্য সংস্কৃতে এই সমাসটি তৎপুরুষ সমাসের অন্তর্ভূত।
দ্বিগু সমাস
যে সমাসে পূর্বপদটি সংখ্যাবাচক বিশেষণ, উত্তরপদটি বিশেষ্য এবং সমাসবদ্ধ পদটির দ্বারা সমষ্টি বা সমাহার বুঝায়, তাহাকে দ্বিগু সমাস বলে।
উদাহরণ :
- পঞ্চ প্রদীপের সমাহার = পঞ্চপ্রদীপ ;
- দুই নয়নের সমাহার = দুনয়ন ;
- ত্রি (তিন) ভুবনের সমাহার = ত্রিভুবন ;
- সপ্ত অহ (দিন)-এর সমাহার = সপ্তাহ ;
- পঞ্চ রাত্রির সমাহার = পঞ্চরাত্র ;
- ত্রি প্রান্তরের সমাহার = ত্রিপ্রান্তর > তেপান্তর;
- নব (নয়টি) রাত্রির সমাহার = নবরাত্র ।
বহুব্রীহি সমাস
যে সমাসে সমস্যমান পদগুলির কোনােটিরই অর্থ প্রধানভাবে না বুঝাইয়া তাহাদের দ্বারা লক্ষিত অন্য পদের অর্থ প্রধানভাবে
বুঝায়, তাহাকে বহুব্রীহি সমাস বলে।
পীত অম্বর যাহার = পীতাম্বর (শ্রীকৃষ্ণ)। পীতাম্বর সমাসবদ্ধ পদটিতে পীত পদটির প্রাধান্য নাই, অম্বর পদটিরও প্রাধান্য নাই। পীত ও অম্বর পদ দুইটির দ্বারা লক্ষিত অথচ সমস্যমান পদের অন্তর্ভুত নয় এমন একটি পদ শ্রীকৃষ্ণই এখানে প্রাধান্য পাইতেছে। কিন্তু পীতবর্ণের বস্ত্রখানিকে বুঝাইলে পীতাম্বর পদটি হইবে কর্মধারয় সমাসনিম্পন্ন পদ। তখন ব্যাসবাক্য হইবে—পীত যে অম্বর।
অনুরূপভাবে নষ্টনীড় পদটিকেও দুইভাবে ব্যাখ্যা করা যায়। (১) নষ্ট হইয়াছে নীড় যাহার বহুব্রীহি (ব্যক্তিটিকে বুঝাইবে); আর (২) নষ্ট যে নীড় কর্মধারয় (নীড়টিকে বুঝাইবে)। বহুব্রীহি পদটিই বহুব্রীহি সমাস-নিষ্পন্ন। বহু হইয়াছে ব্রীহি (ধান্যবিশেষ) যাহার = বহুব্রীহি (সঙ্গতিপন্ন কৃষক—যাহার প্রচুর পান্য ফলিয়াছে)।
অব্যয়ীভাব সমাস :
পূর্বপদ অব্যয়ের সহিত পরপদ বিশেষ্যের যে সমাস হয়, তাহাকে অব্যয়ীভাব সমাস বলে। এই সমাসে অব্যয়েরই অর্থপ্রাধান্য।
সমস্ত-পদটি অব্যয়ের ভাব প্রাপ্ত হয় বলিয়াই নাম অব্যয়ীভাব।
সংস্কৃতে সামীপ্য, অভাব, বীপ্সা, অনতিক্রম, সাদৃশ্য, সীমা, যােগ্যতা, ক্ষুদ্রতা, সম্মুখ, পশ্চাৎ, বিরুদ্ধতা প্রভৃতি বিবিধ অর্থে অব্যয়ীভাব সমাস হয়। বাংলা অব্যয়ীভাব সমাসেও এইগুলি লক্ষিত হয়।
উদাহরণ :
- কূলের সমীপে = উপকূল ;
- অক্ষির সমীপে = সমক্ষ ;
- ভিক্ষার অভাব = দুর্ভিক্ষ ;
- মক্ষিকার অভাব = নিমক্ষিক ;
- ভাতের অভাব হাভাত ;
- দিনে দিনে = প্রতিদিন ;
- অঙ্গে অঙ্গে = (প্রত্যঙ্গ নয়) ;
- ক্ষণে ক্ষণে = প্রতিক্ষণ বা অনুক্ষণ ;
- গৃহে গৃহে = প্রতিগৃহ ।
ব্যাসবাক্য সহ সমাসের উদাহরণ
কিছু গুরুত্বপূর্ণ সমাস, সমস্তপদ ও ব্যাসবাক্যের উদাহরণ নিচে দেওয়া রইলো ।
সমস্তপদ | ব্যাসবাক্য | সমাস |
---|---|---|
মেঘেঢাকা | মেঘেঢাকা | অলুক (করণ) তৎপুরুষ |
তেলেভাজা | তেল দ্বারা ভাজা | অলুক (করণ) তৎপুরুষ |
নামাঙ্কিত | নাম দ্বারা অঙ্কিত | করণ তৎপুরুষ |
তৈলনিষিক্তি | তৈল দ্বারা | করণ তৎপুরুষ |
আদিমধ্যান্ত | আদি, মধ্য এবং অন্ত | দ্বন্দ্ব সমাস |
ইট-কাঠ-চুন-বালি-সুরকি | ইট, কাঠ, বালি, চুন ও সুরকি | দ্বন্দ্ব সমাস |
রােগ-শােক-জরা-মৃত্যু | রােগ, শােক, জরা ও মৃত্যু | দ্বন্দ্ব সমাস |
হাটবাজার | হাট ও বাজার | করণ তৎপুরুষ |
দৈন্যপীড়িত | দৈন্য দ্বারা পীড়িত | কর্মধারয় |
দৃঢ়বদ্ধ | দৃঢ়রূপে বদ্ধ | কর্মধারয় |
মৃদুভাষিণী | মৃদুকথা তথা ভাষিণী | কর্মধারয় |
ঘনসন্নিবিষ্ট | ঘনভাবে সন্নিবিষ্ট | করণ তৎপুরুষ |
অস্ত্রোপচার | অস্ত্রের দ্বারা উপচার | করণ তৎপুরুষ |
সঙ্গিহীন | সঙ্গি দ্বারা হীন | দ্বন্দ্ব সমাস |
গ্রাসাচ্ছাদন | গ্রাস ও আচ্ছাদন | দ্বন্দ্ব সমাস |
তুমি আমি | তুমি ও আমি | দ্বন্দ্ব সমাস |
দম্পতি | জায়া ও পতি | দ্বন্দ্ব সমাস |
চোখে মুখে | চোখে ও মুখে | অলুক দ্বন্দ্ব |
ঘরে বাইরে | ঘরে ও বাইরে | অলুক দ্বন্দ্ব |
দুধে ভাতে | দুধে ও ভাতে | অলুক দ্বন্দ্ব |
দেবাশ্রিত | দেবকে আশ্রিত | কর্ম তৎপুরুষ |
সংখ্যাতীত | সংখ্যাকে অতীত | কর্ম তৎপুরুষ |
যে-সে | যে ও সে | দ্বন্দ্ব সমাস |
অহর্নিশ | অহঃ ও নিশা (অহঃ-দিন) | দ্বন্দ্ব সমাস |
আকাশপাতাল | আকাশ ও পাতাল | দ্বন্দ্ব সমাস |
বৃষ্টিধৌত | বৃষ্টি দ্বারা ধৌত | করণ তৎপুরুষ |
বিজ্ঞান সম্মত | বিজ্ঞান দ্বারা সম্মত | করণ তৎপুরুষ |
ঋণগ্রস্ত | ঋণ দ্বারা গ্রস্ত | করণ তৎপুরুষ |
বাছাধােয়া | আগে বাছা পরে ধােয়া | কর্মধারয় সমাস |
মৃদুমন্দ | যা মৃদু তা-ই মন্দ | কর্মধারয় সমাস |
সত্যবাদী | সত্য বলে যে | কর্মধারয় সমাস |
দুঃস্থ | দুঃখে থাকে যে | কর্মধারয় সমাস |
পঙ্কজ | পাঁকে জন্মায় যে | কর্মধারয় সমাস |
গণিতজ্ঞ | গণিত জানেন যিনি | কর্মধারয় সমাস |
কলেজে পড়া | কলেজে পড়ছে যে | অলুক (উপপদ) তৎপুরুষ |
খেচর | খ-এ চরে যে | অলুক (উপপদ) তৎপুরুষ |
অনেক | নয় এক | নঞ তৎপুরুষ সমাস |
অসীম | নাই সীমা | নঞ তৎপুরুষ সমাস |
বৃহস্পতি | বৃহৎ যে পতি | কর্মধারয় সমাস |
মহাশয় | মহান যে আশয় | কর্মধারয় সমাস |
স্বচ্ছ সলিলা | স্বচ্ছ যে সলিলা | কর্মধারয় সমাস |
কদন্ন | কু যে অন্ন | কর্মধারয় সমাস |
সুপুরুষ | সু যে পুরুষ | কর্মধারয় সমাস |
কুপুরুষ | কু যে পুরুষ | কর্মধারয় সমাস |
গরহাজির | নয় হাজির | নঞ তৎপুরুষ সমাস |
নারাজ | নয় রাজি | নঞ তৎপুরুষ সমাস |
আগাছা | নয় গাছা | নঞ তৎপুরুষ সমাস |
নগন্য | নয় গণ্য | নঞ তৎপুরুষ সমাস |
মহাজন | মহৎ যে জন | কর্মধারয় সমাস |
নরােত্তম | উত্তম যে নর | কর্মধারয় সমাস |
চাল-ভাজা | ভাজা এমন চাল | কর্মধারয় সমাস |
পিতাঠাকুর | যিনি পিতা তিনিই ঠাকুর | কর্মধারয় সমাস |
রামকৃষ্ণ | যিনি রাম তিনিই কৃষ্ণ | কর্মধারয় সমাস |
খােকাবাবু | যে খােকা তিনিই বাবু | কর্মধারয় সমাস |
নিরলংকৃত | না বা নয় অলংকৃত | নঞ তৎপুরুষ সমাস |
অনাদি | ন আদি | নঞ তৎপুরুষ সমাস |
বিদেশ | নাইদেশ | নঞ তৎপুরুষ সমাস |
অনাবশ্যক | নয় আবশ্যক | নঞ তৎপুরুষ সমাস |
গােপ | গােরুকে পালন করে যে | উপপদ তৎপুরুষ সমাস |
যুধিষ্ঠির | যুদ্ধে যিনি স্থির থাকেন | অলুক (অধিকরণ) তৎপুরুষ সমাস |
জলে ডােবা | জলে ডােবা | অলুক (অধিকরণ) তৎপুরুষ সমাস |
কস্মিনকালে | কস্মিন কালে | অলুক (অধিকরণ) তৎপুরুষ সমাস |
ধুলিলুণ্ঠিতা | ধুলিতে লুণ্ঠিতা | অধিকরণ তৎপুরুষ |
সংখ্যাগরিষ্ঠ | সংখ্যায় গরিষ্ঠ | অধিকরণ তৎপুরুষ |
গৃহবাস | গৃহে বাস | অধিকরণ তৎপুরুষ |
বাপে খেদানাে | বাপ খেদানাে | অলুক (করণ) তৎপুরুষ সমাস |
জলাতঙ্ক | জল থেকে আতঙ্ক | অপাদান তৎপুরুষ সমাস |
স্নাতকোত্তর | স্নাতক থেকে উত্তর | অপাদান তৎপুরুষ সমাস |
আদ্যান্ত | আদি থেকে অন্ত | অপাদান তৎপুরুষ সমাস |
জন্মান্ধ | জন্ম থেকে অন্ধ | অপাদান তৎপুরুষ সমাস |
পরাৎপর | পরাৎ পর | অলুক (অপাদান) তৎপুরুষ সমাস |
সারাৎসার | সারাৎ সার | অলুক (অপাদান) তৎপুরুষ সমাস |
দেবদত্ত | দেবের উদ্দেশ্যে দত্ত | তৎপুরুষ সমাস |
রান্নাঘর | রান্নার নিমিত্ত ঘর | নিমিত্ত তৎপুরুষ সমাস |
পুত্রশােক | পুত্রের জন্য শােক | নিমিত্ত তৎপুরুষ সমাস |
দেবতা নিবেদিত | দেবতাকে নিবেদিত | নিমিত্ত তৎপুরুষ সমাস |
আত্মনেপদ | আত্মনে পদ | অলুক সম্প্রদান তৎপুরুষ সমাস |
বজ্রনাদ | বজ্রের নাদ | সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস |
গঙ্গাজল | গঙ্গার জল | সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস |
দেশাচার | দেশের আচার | সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস |
তীর্থোদক | তীর্থের উদক | সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস |
শিশুদৃষ্টি | শিশুদের দৃষ্টি | সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস |
মামাবাড়ি | মামার বাড়ি | অলুক (সম্বন্ধ) তৎপুরুষ সমাস |
ভাগের মা | ভাগের মা | অলুক (সম্বন্ধ) তৎপুরুষ সমাস |
হাতির খােরাক | হাতির খােরাক | অলুক (সম্বন্ধ) তৎপুরুষ সমাস |
চরণাশ্রিত | চরণে আশ্রিত | অধিকরণ তৎপুরুষ সমাস |
শিল্পপটু | শিল্পে পটু | অধিকরণ তৎপুরুষ সমাস |
কানাকানি | কানেকানে যে কথা | ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস |
কোলাকুলি | কোলে কোলে যে মিল | ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস |
লাঠালাঠি | পরস্পর লাঠিতে লাঠিতে যে যুদ্ধ | ব্যাতিহার বহুব্রীহি সমাস |
ঠেলাঠেলি | ঠেলে ঠেলে যে যুদ্ধ | ব্যাতিহার বহুব্রীহি সমাস |
পাপমতি | পাপে মতি যার | বহুব্রীহি সমাস |
তে পায়া | তিন পায়া যার | বহুব্রীহি সমাস |
পঞ্চপ্রদীপ | পঞ্চ প্রদীপের সমাহার | দ্বিগু সমাস |
ত্রিতন্ত্রী | তিন তারের সমাহার | দ্বিগু সমাস |
শতাব্দী | শত অব্দের সমাহার | দ্বিগু সমাস |
ত্রিজগৎ | ত্রি(তিন) জগতের সমাহার | দ্বিগু সমাস |
শতবার্ষিকী | শতবর্ষের সমাহার | দ্বিগু সমাস |
তেমাথা | তিন মাথার সমাহার | দ্বিগু সমাস |
খড়গহস্ত | খড়গ হস্তে যার | বহুব্রীহি সমাস |
কৃত্তিবাস | কৃত্তি (বাঘের ছাল) বাস যার | বহুব্রীহি সমাস |
স্বার্থপর | স্বার্থই পর (পরম) যার | বহুব্রীহি সমাস |
কৃষিমাতৃক | কৃষি মাতা যার | বহুব্রীহি সমাস . |
বিশ্বামিত্র | বিশ্ব মিত্র যার | বহুব্রীহি সমাস |
সধবা | ধবের (স্বামীর ) সঙ্গে বাস | বহুব্রীহি সমাস |
সেতার | সে(তিন) তার যার | বহুব্রীহি সমাস |
ছিন্নশাখা | ছিন্ন হয়েছে শাখা যার | বহুব্রীহি সমাস |
বিবিধ | বহুবিধা ( প্রকার ) যার | বহুব্রীহি সমাস |
সুধী | সু ধী যার | বহুব্রীহি সমাস |
দশানন | দশ আনন (মুখ) যার | বহুব্রীহি সমাস |
আশীবিষ | আশীতে (দাঁতে) বিষ যার | বহুব্রীহি সমাস |
কুবের | কুৎসিৎ বের (দেহ) যার | বহুব্রীহি সমাস |
লন্ধপ্রতিষ্ঠা | লন্ধ হয়েছে প্রতিষ্ঠা যার | বহুব্রীহি সমাস |
বীণাপাণি | বীণা পানিতে যার | বহুব্রীহি সমাস |
চন্দ্রচূড় | চন্দ্রচূড়ায় যার | বহুব্রীহি সমাস |
বহুব্রীহি | বহু হয়েছে ব্রীহি (ধান ফলেছে) | বহুব্রীহি সমাস |
তেপান্তর | তিন প্রান্তরের সমাহার | দ্বিগু সমাস |
চারতলা | চার (চারটি) তলার সমাস | দ্বিগু সমাস |
চালাকচতুরি | যে চালাক সেই চতুর | কর্মধারয় সমাস |
ঘি-ভাত | ঘি মেশানাে ভাত | মধ্যপদলােপী কর্মধারয় সমাস |
জামাই ষষ্ঠী | জামাইয়ের মঙ্গলার্থে ষষ্ঠী | মধ্যপদলােপী কর্মধারয় সমাস |
সিংহাসন | সিংহ চিহ্নিত যে আসন | মধ্যপদলােপী কর্মধারয় সমাস |
সান্ধতন্দ্রাটুকু | সান্ধ্যকালীন যে তন্দ্রা | মধ্যপদলােপী কর্মধারয় সমাস |
আকাশবাণী | আকাশ মারফৎ প্রেরিত বাণী | মধ্যপদলােপী কর্মধারয় সমাস |
পদশ | প অধিক দশ | মধ্যপদলােপী কর্মধারয় সমাস |
ছায়াতরু | ছায়াদানকারী তরু | মধ্যপদলােপী কর্মধারয় সমাস |
হাতঘড়ি | হাতে পরবার ঘড়ি | মধ্যপদলােপী কর্মধারয় সমাস |
মানপত্র | মান নির্দেশক পত্র | মধ্যপদলােপী কর্মধারয় সমাস |
সিদুর কৌটো | সিদুর রাখার কৌটো | মধ্যপদলােপী কর্মধারয় সমাস |
মৌমাছি | মৌ-সঞ্চয়কারী মাছি | মধ্যপদলােপী কর্মধারয় সমাস |
তরঙ্গান্দোলন | তরঙ্গের ন্যায় আন্দোলন | উপমান কর্মধারয় সমাস |
হস্তীমূখ | হস্তীর ন্যায় মুখ | উপমান কর্মধারয় সমাস |
জ্যোৎস্নাস্নিগ্ধ | জ্যোৎস্নার ন্যায় স্নিগ্ধ | উপমান কর্মধারয় সমাস |
কাজলকালাে | কাজলের মতাে কালাে | উপমান কর্মধারয় সমাস |
বজ্রকঠিন | বজ্রের ন্যায় কঠিন | উপমান কর্মধারয় সমাস |
পাদপদ্ম | পাদপদ্মের ন্যায় | উপমান কর্মধারয় সমাস |
পুরুষ সিংহ | পুরুষ সিংহের ন্যায় | উপমান কর্মধারয় সমাস |
কথামৃত | কথা অমৃতের তুল্য | উপমান কর্মধারয় সমাস |
মুখশশী | মুখ শশীর ন্যায় | উপমান কর্মধারয় সমাস |
মনােবেড়ি | মন (মনঃ) রূপ বেড়ি | রূপক কর্মধারয় সমাস |
দুঃখানল | দুঃখরূপী অনল | রূপক কর্মধারয় সমাস |
রহস্যঅবগুণ্ঠন | রহস্যরূপ অবগুণ্ঠন | রূপক কর্মধারয় সমাস |
নদীজপমালা | নদীরূপ জপমালা | রূপক কর্মধারয় সমাস |
স্নেহসুধা | স্নেহরূপ সুধা | রূপক কর্মধারয় সমাস |
বেকায়দা। | কায়দার অভাব | অব্যয়ীভাব সমাস |
উপকণ্ঠ | কণ্ঠের সমীপে | অব্যয়ীভাব সমাস |
অনুগােদ | গােদাবরী সমীপে | অব্যয়ীভাব সমাস |
সকাল-নাগাদ | সকালের কাছাকাছি | অব্যয়ীভাব সমাস |
আবাল্য | বাল্য থেকে | অব্যয়ীভাব সমাস |
প্রতি-অঙ্গ | অঙ্গে অঙ্গে | অব্যয়ীভাব সমাস |
আজন্ম | জন্ম থেকে | অব্যয়ীভাব সমাস |
হররােজ | রােজ রােজ | অব্যয়ীভাব সমাস |
প্রতিক্ষণ | ক্ষণে ক্ষণে | অব্যয়ীভাব সমাস |
যথােচিত | উচিতকে অতিক্রমণ করে | অব্যয়ীভাব সমাস |
যথাসাধ্য | সাধ্যকে অক্রিমণ না করে | অব্যয়ীভাব সমাস |
উচ্ছৃঙ্খল | শৃঙ্খলকে অতিক্রান্ত | অব্যয়ীভাব সমাস |
আনাড়ী | নাই নাড়ী জ্ঞান যার | নঞর্থক বহুব্রীহি সমাস |
সার্ধ | অর্ধের সঙ্গে বর্তমান | সহাৰ্থক বহুব্রীহি সমাস |
সমান | মনের সঙ্গে বর্তমান | সহার্থক বহুব্রীহি সমাস |
সশ্রদ্ধ | শ্রদ্ধার সঙ্গে বর্তমান | সহাৰ্থক বহুব্রীহি সমাস |
বে-বন্দোবস্ত | বন্দোবস্তের অভাব | অব্যয়ীভাব সমাস |
উপজাতি | ক্ষুদ্রজাতি | অব্যয়ীভাব সমাস |
আবালবৃদ্ধবণিতা | বাল, বৃদ্ধ ও বনিতা সকলে | অব্যয়ীভাব সমাস |
অনন্ত | নেই অন্ত যার | নঞর্থক বহুব্রীহি সমাস |
হা-ঘর | ঘরের অভাব | অব্যয়ীভাব সমাস |
হাতে-খড়ি | হাতে খড়ি দেওয়া হয় যে অনুষ্ঠানে | অলুক বহুব্রীহি সমাস |
মুখে ভাত | মুখে প্রথম ভাত দেওয়া হয় যে অনুষ্ঠানে | অলুক বহুব্রীহি সমাস |
নিচের ডাউনলোড সেকশন থেকে এই নোটটির PDF ভার্সন ডাউনলোড করে নাও ।
Bangla samas pdf download
Download Section :
- File Name: সমাস
- File Size: 224 KB
- Format: PDF
- No. of Pages: 10
- Language: Bengali
- Subject: Bengali Grammar
আরও দেখে নাও :
- প্রবাদ বাক্য | Bengali Proverbs with English Translations – PDF
- ১০০০+ এক কথায় প্রকাশ – বাক্য সংকোচন – PDF – বাংলা ব্যাকরণ
- সমোচ্চারিত ভিন্নার্থক শব্দ ১৫০+ PDF – বাংলা ব্যাকরণ
- সমার্থক শব্দ বা একার্থক শব্দ – বাংলা ব্যাকরণ – PDF
- বাগধারা ( PDF )
To check our latest Posts - Click Here